পেপটিক আলসারঃ কি খাবেন, কি খাবেন না
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পেপটিক আলসারে ভুগছে এমন লোকের সংখ্যা কম নয়। আলসার বা ক্ষত পাকস্থলীতে হতে পারে অথবা ডিওডেনামে হতে পারে। পেপটিক আলসার হলে পাকস্থলীর পেশীর টান বৃদ্ধি পায় এবং তীব্র ক্ষুধাজনিত সংকোচন হতে থাকে। এই সময় কিছু না খেলে অর্থাৎ পেট খালি থাকলে তীব্র ব্যাথা হয়। আবার অতিরিক্ত খাবার একসাথে খেয়ে অনেকক্ষন না খেয়ে থাকাও আলসারের রোগীর জন্য উপযোগী নয়। আলসারে পেটে তীব্র ব্যাথা হয় বলে রোগী অনেক সময় অনেক খাবার খেতে চায় না। খেয়াল রাখতে হবে রোগীর খাবার অবশ্যই সূষম হবে এবং উত্তেজক খাবার পরিহার করে চলতে হবে। দুশ্চিন্তা, অতিরিক্ত রাত জাগা পরিপাক কার্যকে বিঘ্নিত করে। ধুমপান ও তামাক সেবন, খালি পেটে চা, কফি ও এলকোহল গ্রহণ করা ঠিক নয়। খাবার ধীরে ধীরে চিবিয়ে খেতে হবে এবং এর সাথে অতিরিক্ত আঁশযুক্ত খাবার বর্জন করা উচিৎ। দৈনিক পাঁচ থেকে ছয়বার খাদ্য গ্রহণ করা উচিৎ এবং প্রতিবার আহার্যে খাদ্যের পরিমাণ যেন খুব বেশী না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
অনুমোদিত খাবারঃ
- সরু চালের ভাত, ময়দার রুটি, নুডুলস, সেমাই
- পরিমিত পরিমাণে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ
- খোসা ছাড়া সুসিদ্ধ ডাল
- আঁশবিহীন তরকারীঃ পেঁপে, আলু, লাউ, কাঁচাকলা, পটল, চিচিংগা ইত্যাদি
- মিষ্টি স্বাদের ফল ও ফলের রসঃ আম, কলা ইত্যাদি
- স্যুপ
- ভোজ্যতেল, ম্যায়োনিস, সালাদ ড্রেসিং
- চিনি, মধু, জ্যাম, জ্যালী, মোরব্বা
- লবণ
.
অননুমোদিত খাবারঃ
- মোটা লাল চাল, ভূষি সমেত আটা, ভূট্টা
- খোসাসহ ডাল, ছোলা, মটর ও সিমের বিচী, মটরশুটি
- আঁশবহুল কাঁচা শাকসব্জী, কাঁচা পেঁয়াজ ও কাঁচা রসুল
- সকল প্রকার মশলা ও আচার, ভাজা খাদ্য, এলকোহল
- টক ও আঁশযুক্ত ফল, সাইট্রাস গ্রুপের ফল, চকলেট, নারকেল
- ঘন দুধের তৈরী খাবার, ক্রীম, বাদাম, সস
- খুব বেশী গরম ও ঠান্ডা খাবার
- গ্যাস উৎপন্ন হয় এমন সব্জীঃ শশা, বাঁধাকপি, ব্রকলী, টমেটো, শালগম ইত্যাদি।
No comments:
Post a Comment