Thursday 1 January 2015

নাইটহুডে সম্মানিত হয়েছেন ‘ফাদার অফ ভায়াগ্রা’



উচ্চ রক্তচাপ নিরাময়ে ডা. ক্যাম্পবেল ২৬ বছর ধরে তিনটি ওষুধ নিয়ে গবেষণা চালান। তিনটি ওষুধের শেষটি ছিল সিলডিনাফিল, যা পরবর্তীতে ‘গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার’ জন্য জনপ্রিয়তা পায় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ওষুধ উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ফাইজার ওই ওষুধকেই পরে ভায়াগ্রা নামে বাজারজাত করে।
যৌন আচরণ এবং ভায়াগ্রা এ নিয়ে আমাদের সমাজে এবং উন্নত রাষ্ট্রগুলোতেও অনেক ভুল ধারণা, কুসংস্কার ইত্যাদি প্রচলিত রয়েছে। প্রায়শ এগুলো আমরা একজন আরেকজনকে লজ্জা, অস্বস্তিবোধ এবং কতক সামাজিক রীতিনীতির কারণে জিজ্ঞেস করতে পারি না। কিন্তু এ প্রশ্নগুলো আমাদের মনে প্রায়শ বিরাজ করে। উল্লেখ থাকে যে, এসব প্রশ্নোত্তরগুলো প্রাপ্ত বয়স্কদের জানা উচিত। ভায়াগ ্রা এবং যৌনতা বিষয়ক তাই প্রচলিত কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর সোজা সাপটাভাবে পাঠকদের যৌনজ্ঞান বাড়ানোর উদ্দেশ্যে আমরা নিম্মে আলোচনা করলাম।
প্রশ্ন : ভায়াগ্রা কি এবং এটি কিভাবে কাজ করে?
উত্তর :- ভায়াগ্রা একটি ট্রেড নেম বা ড্রাগের রাসায়নিক নামাকরণ। এর মূল উপাদান হলো সিলডেনাফিল সাইট্রেট। এটি আকস্মিকভাবে আবি®কৃত হয়েছিল। এর মূল কাজ পেনিসে বা লিঙ্গের উত্থানের সাথে সম্পর্কিত। প্রাথমিক পর্যায়ে এটি হার্ট ডিজিজের ওষুধ হিসেবে পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং আশাপ্রদ কোনো ফলপাওয়া যায়নি। কতক গবেষক এসকল ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পরিচালনার সময় তাদের রোগীদের ইরেকশনের ব্যাপাটির বা যৌনভাবে যারা অক্ষম তাদের লিঙ্গ উত্থানের ব্যাপাটির হঠাৎ করে পর্যবেক্ষণ করে। এভাবেই শুরু হয় ভায়াগ্রা নিয়ে গবেষণার সূচনা।
ভায়াগ্রা মূলত কাজ করে থাকে অনৈচ্ছিক মসৃণ কোষগুলোর শিথিলতার সময়কালকে বাড়ীয়ে এবং পেনিসের যেসকল রক্ত গহ্বর রয়েছে সেগুলোতে রক্ত প্রবাহের
মান উন্নয় করে। অবশ্য এটি ঠিক যে, এটি সাধারণভাবে পেলভিক এরিয়া বা শ্রোণী এলাকাতেও রক্ত সরবরাহ বাড়িয়ে থাকে। গবেষণার শেষের পর্যায়ে যে ফল বেরিয়ে এসেছে তা হলো শতকরা ৮৮ ভাগ পুরুষযাদের ইরেকশন বা উত্থানজনিত কোনো না কোনো দুর্বলের কারণে যৌনভাবে অক্ষম ছিল তারা যৌন সঙ্গমে ভায়াগ্রা সেবনের ফলে আশাতীত ফল লাভ করেছিল।এদের কতকের আবার লিঙ্গ উত্থানজনিত অবস্থা ধরে রাখতে সমস্যা হতো। উল্লেখ থাকে যে, লিঙ্গ উত্থান কারো কারো ক্ষেত্রে খুব ভালোভাবে হয়ে থাকলেও দেখা গেছে কতক পুরুষের এই উত্থানজনিত অবস্থা ধরে রাখতে সমস্যা হয়। এদের ক্ষেত্রেও ভায়াগ্রা সেবনেএই উত্থানজনিত অবস্থানকালীন সময় অনেক দীর্ঘায়িত হয়েছে ফলে যৌনানন্দ অনেক বাড়ে।
প্রশ্ন :- ভায়াগ্রা নিয়ে কি কি দুশ্চিন্তা রয়েছে?
উত্তর :- সাধারণ ভাষায় বলতে গেলে ভায়াগ্রার মূল জটিলতা হলো হার্টে কোনো অসুখ থাকলে এবং এটি যদি এমনটি হয়ে থাকে যেজন্য শারীরিক কার্যক্রম পর্যন্ত বন্ধকরে দিতে হয়। এজন্য ভায়াগ্রা সেবনের পূর্বে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ফিজিশিয়ানের মাধ্যমে মেডিকেল ইতিহাস এবং সম্পূর্ণ শারীরিক পরীক্ষা- নিরীক্ষা করে নিতে হবে। হার্ট ফেইলিওর, হার্টএ্যমিটাক , স্ট্রোক বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষণ, হার্টের মায়োকার্ডিয়ামে ইনফেকশন, খুব বেশি মাত্রায় রক্তচাপ, খুব অল্পমাত্রার রক্তচাপ ইত্যাদি অবস্থায়, এ ওষুধটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূূর্ণ এবং তাত্ত্বিকভাবে অনির্দেশয়ান। ফিজিশিয়ান আপনাকে পরীক্ষা- নিরীক্ষার মাধ্যমে দেখবেন আপনারইরেকশনে সমস্যা হওয়ার পেছনে মূল শারীরিক বা মনোগত কারণ কি এবং সে মতেই তিনি ঠিক করবেন আপনাকে সিলডেনাফিল সাইট্রেট দেবেন কি দেবেন না। ভায়াগ্রা সেবনজনিত আরেকটি মূল জটিলতা হলো আপনি এর সাথে অন্য আর কোনো ড্রাগবা ওষুধ সেবন করছেন। নানা ধরনের ড্রাগের সাথে ভায়াগ্রার ইন্টারেকশন বা রাসায়নিক ক্রিয়া হতে পারে। এখন পর্যন্ত সব ধরনের ড্রাগের সাথে এর কি ধরনের ক্রিয়া পতিক্রিয়া হয় তা সম্পূর্ণভাবে জানা যায়নি। তবে নাইট্রেটস(জিহ্বার নিচে প্রয়োগযোগ্য গ্লিসারিন টাইনাইট্রেটস ট্যাবলেট, ¯েপ্র, ডাইনাইট্রেটস ইত্যাদির সঙ্গে) জাতীয় ওষুধের সঙ্গে ভায়াগ্রা সেবন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বাজারে প্রচলিত কতক অর্গানিক নাইট্রেটসের মধ্যে রয়েছে নাইটোগ্লিসারিন, আইসোসরবাইটডাইনাইট্রেটস, নাইটোডুর, নাইটোপেস্ট এবং আইসোবিউটালনাইট্রে নামক কতক ওষুধ। আপনি এগুলোর যে কোনোটি সেবন করতে থাকলে একই সাথে ভায়াগ্রা বা সিলডেনাফিল সাইট্রেট সেবন করলে রক্তচাপ অস্বাভাবিকভাবে এবং অপরিবর্তনীয়ভাবে স্বাভাবিক লেভেলেরা অনেক নিচে নেমে যেতে পারে। এটি যেমন নানাবিধ মেডিকেল অসুস্থতার সৃষ্টি করতে পারে তেমনি দুটি একই সাথে সেবনে মৃত্যুর ঘটনাও অনেক ঘটেছে। যেসকল রোগীরা সিমেটিডিন, ইরাইথ্রোমাইসিন, কেটোকনাজল অথবাইট্রাকনাজল জাতীয় ওষুধ সেবন করেছেন তাদের এসকল ওষুধের সাথে সিলডেনাফিল সাইট্রেস বা ভায়াগ্রা সেবন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ক্লিনিক্যাল গবেষণায় দেখা গেছে যে , ভায়াগ্রা উপরোল্লিখিত ওষুধগুলোর সাথে রাসায়নিকভাবে বিক্রিয়া করে থাকে। একে আমরা ড্রাগ ইন্টারেকশন বলি। তাই আপনি যদি ওপরের কোনো ধরনের ওষুধ সেবন করে থাকেন তবে ডাক্তারকে অবশ্যই অবহিত করবেন।
ভায়াগ্রা নিয়ে এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে যেহেতু নানা গবেষণা হয়েছে তাই অনেকক্ষেত্রে বিরুদ্ধ ফলাফল বা এর কি কি পার্শ্বপতিক্রিয়া হতে পারে তা নিয়ে অনেকের মাঝে দ্বিমত রয়েছে। তবে গড়পড়তা সাধারণভাবে প্রচলিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রেদেখা যায় শতকরা ১৬ ভাগের মাথাব্যথা , শতকরা ৪ ভাগের ক্ষেত্রে মুখমন্ডল রক্তবর্ণ ধারণা করা এবং শতকরা ৩ ভাগের ক্ষেত্রে দৃষ্টি শক্তিতে সামান্য অসুবিধা পরিলক্ষত হয়েছে। তবে এটা ঠিক যে দৃষ্টিশক্তিজনিত যে সমস্যা দেখাদিয়েছে তা অত্যন্ত সাময়িক এবং অল্প মসয়ের জন্য হয়ে থাকে এবং এটি আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যায়। তবে কারো যদি আগে থেকে রেডিনাল ডিসফাংশন যেমন রেটিনাইটিস পিগমেন্টোসা থেকে থাকে তাহলে ওষুধটি সাবধানতার সাথে সেবন করতে হবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো চক্ষুর সাথে জড়িত দৃষ্টি শক্তি সম্পর্কীয় ব্যাপারটি সাধারণত অধিকমাত্রায় ভায়াগ্রা সেবনে হয়ে থাকে। তথাপি এই সমস্যার জন্য ভায়াগ্রা বন্ধ করতে হয়েছে এমন রোগীর সংখ্যা নিতান্তই কম।


অন্যদিকে পরিবেশবান্ধব রসায়ন নিয়ে গবেষণার জন্য ইউটিউব সেলিব্রেটিতে পরিণত হয়েছেন ইউনিভার্সিটি অফ নটিংহ্যামের প্রফেসর মার্টিন পোলায়াকফ। নাইট উপাধি প্রাপ্তি নিয়ে তিনি আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, “যে কারও জন্যই নাইট উপাধি একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন”। পোলায়াকফ জানিয়েছেন, ভক্তদের উৎসাহই তার কাজের প্রধান চালিকা শক্তি।
পোলায়াকফ বলেন “পাঁচ সপ্তাহে ১২০টি ভিডিও বানিয়েছিলাম আমরা”। রাসায়নিক উপাদান নিয়ে ‘শর্ট ফিল্ম’ তৈরির আইডিয়ার জন্য সাংবাদিক ব্র্যাডি হারানকে ধন্যবাদ জানান তিনি। দর্শকদের চাহিদার উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতেও তাদের ইউটিউব চ্যানেলে এই রকম আরও ভিডিও পোস্ট অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

No comments:

Post a Comment