Monday 30 May 2016

ঘাড়,কোমর ও হাটু ব্যথা রোগীদের জন্য পরামশ...





১. মেরুদণ্ড ও ঘাড় বাকা করে (নীচু হয়ে)কোন কাজ করবেন না।
২. যে কোন একদিকে কাত হয়ে হাতে ভর দিয়ে উঠবেন।
৩. পিড়া বা মোড়ায় না বসে পিঠে সাপোট দিয়ে চেয়ারে বসবেন। 
৪. হাটু ভাজ করে বসা উচিত নয়।
৫. ফোমের বিছানায় ( নরম বিছানায়) শোয়া নিষেধ।
৬. চেয়ার টেবিলে বসে ভাত খাবেন।
৭. নিদেশ মত নিয়মিত ব্যায়াম করবেন।
৮. দাড়িয়ে রান্না করবেন,প্রয়োজনে চেয়ারে বসে রান্না করবেন।
৯. অাক্রান্ত স্থানে অল্প গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে শেক দিবেন।
১০. কোন জিনিস তোলার সময় সোজা হয়ে বসে তুলবেন।
১১. ঝরনায় অথবা সোজা হয়ে বসে গোসল করবেন।
১২. উপর হয়ে শোবেন না,শুয়ে টিভি দেখবেন না।
১৩. বোতল হাতে ঘাড় বাকা করে পানি পান করবেন না।
১৪. যাত্রার সময় সামনের অথবা মাঝা মাঝি অাসনে বসুন।
১৫. হাই হিল যুক্ত জুতা পরবেন না।
১৬. দীঘক্ষন হাটা বা দৌড়ানো ঠিক না।
১৭. শোবার সময় এক টি পাতলা বালিশ দ্বারা ঘাড়ে সাপোট দিয়ে ঘুমাবেন।
১৮. ব্যাথা বেশি থাকা অবস্থায় কোন প্রকার ব্যায়াম করবেন না।
১৯. মোটা ব্যক্তির শরীরের ওজন কমাতে হবে।
২০. কোন প্রকার মালিশ করবেন না।
২১. ঝুকিপূন যানবাহন বা রাস্তা ব্যবহার করবেন না।
২২. সিড়িতে বেয়ে ওঠার সময় ধীরেধীরে সোজা হয়ে হাতল বেয়ে উঠবেন।
২৩. হাটার সময় নিদেশ মত লাঠি ব্যবহার করবেন।
২৪. কলার বা করসেট বেল্ট দেওয়া হলে ভ্রমনের সময় অবশ্যই ব্যবহার করবেন, তবে গোসল, খাওয়া, ব্যায়াম করা সময়খুলে রাখবেন।
২৫. উ পদেশ মত ফিজিক্যাল থেরাপি নিবেন।
............................................
............................................
ফিজিওথেরাপি সম্পর্কিত যে কোন সেবার জন্য যোগাযোগ করুন ... 01977691052
............................................
সেবা সমূহ
*কোমর ব্যথা
*ঘাড় ব্যথা
*হাটু ব্যথা
*বাত ব্যথা
*মুখ বেকে যাওয়া
*প্যারালাইসিস চিকিৎসা কেন্দ্র
Address

Plot-19; Road-113/A; Gulshan-2; Dhaka; Bangladesh,Cell-01977691052

স্পন্ডিলাইটিস এর ব্যথা???কোমর ব্যথা হলে কী করবেন???












সকালে ঘুম থেকে উঠে সুজন টের পেল গত রাতের ঘাড়ে-পিঠের ব্যথাটা আছেই। বেশ কয়েকদিন ধরেই ব্যথাটা বেড়েছে। স্প্রে করে বা গরম শেক দিয়েও কোন কাজ হয়নি। ব্যথার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অফিসের কাজও। সেই যে অফিসে ঢোকার পর থেকে কম্পিউটারে বসে, তারপরের ৮ ঘন্টা ওই মনিটর ছাড়া আর কারোর মুখ দর্শন হয় না। সুজন নিজেকে যথেষ্ট ফিট বলেই মনে করত। একসময় সে ছোটবেলায় আন্ত:স্কুল পর্যায়ে স্টেট ফুটবল কাঁপিয়েছে বলতে গেলে। সে যে কীভাবে এই ব্যথায় কাবু হয়ে পড়ল, তা ভেবে অবাক হয় সুজন নিজেও। বি-টেকের সময় খেলাধূলাটা বজায় থাকলেও তারপর আর হয়নি। তবে শরীর চর্চাটা চালিয়ে গিয়েছিল সে। জিমের ট্রেনারের কাছেই জিজ্ঞাসা করেছিল এরকম ঘাড়ে-পিঠে ব্যথা কেন হচ্ছে। তখন তিনিই বলেছিলেন যে উপসর্গ দেখে এটা স্পন্ডিলাইটিসই মনে হচ্ছে। তিনিই কিছু ব্যায়াম দেখিয়ে দিয়েছেন।সুজন সেগুলোই করে। কিন্তু সময়ের অভাবে অবশ্য ঠিকমত কিছুই করা হয় না।
প্রশ্ন, শুধু সুজনের ই কি এই সমস্যা? উত্তর, না। এই স্পন্ডিলাইটিসের সমস্যা কোনও এক নয়। আজ এই সমস্যা বলা যায় ঘরে ঘরে। অন্যান্য অনেক রোগ-ব্যধির মতোই ঘাড়ে-পিঠে-কোমরে ব্যথা কোনও বয়স মানে না। ব্যথায় কাবু হয়ে পড়ছেন টিন-এজ থেকে পঁয়ত্রিশোর্দ্ধ প্রায় প্রত্যেকেই। সমস্যা দিন দিন বাড়ছে বই কমছে না। নিরাময়ের জন্য ডাক্তার দেখানো, ওষুধ খাওয়া ইত্যাদি এবং ব্যায়াম তো চলছে। কিন্তু এই স্পন্ডিলাইটিস যাতে গেঁড়ে বসতে না পারে, তার সেরা সমাধান নিয়মিত ব্যায়াম করা। সকালে বা রাতে অফিস থেকে বাড়ি ফিরে, অথবা অফিসের মাঝেই একটু সময় বের করে নিন। তবে ভুলেও কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠেই ব্যায়াম করবেন না। বেশ খানিক্ষণ পর করবেন। নয়তো হিতে বিপরীত হতে দেরি হবে না।
শরীরের কোথায় হয় স্পন্ডিলাইটিস? মূলত মেরুদণ্ড এবং মেরুদণ্ডের বিভিন্ন জয়েন্টে স্পন্ডিলাইটিস হয়। অস্টিওআর্থ্রাইটিস রোগের কারণেও অনেকসময় হয়ে থাকে। মেরুদণ্ডে অস্থিবৃদ্ধি হলে এই রোগের দাপট বাড়ে। সাধারণত তিন রকমের স্পন্ডিলাইটিস হয়। ঘাড়ের দিকে ব্যথা হলে বলা হয় সারভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস। লাম্বার অংশে ব্যথা হলে তাকে লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস বলে। ঘাড়, চোয়াল, কাঁধ, হিপ জয়েন্ট এবং হাঁটুতে ব্যথা হলে বলে অ্যাংকিলাইজিং স্পন্ডিলাইটিস। আপনি এই সমস্যার সমাধানে ফিজিওথেরাপি করাতে পারেন। এমনকি সারভাইক্যল স্পন্ডিলাইটিসের ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সুস্থ থাকা সম্পূর্ণটাই আপনার হাতে।
কোমর ব্যথা হলে কী করবেন ---
অনেকেই বলে থাকেন ব্যথা থাকায় অবস্থায় ব্যয়াম করবেন না।কিন্তু আমি বলব, সঠিক ব্যয়াম ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। শুধু সঠিক ব্যয়ামই খুব দ্রুত কোমর ব্যথা কমাতে তাৎক্ষনিক সাহায্য করে এবং তা প্রমাণিত।
এখানে একজন রুগীর কথা উল্লেখ করা যেতে পারে।রুগীর বয়স 32 বৎসর।বিছানা থেকে ছেলেকে উঠাতে হঠাৎ করে মাঝায় প্রচন্ড ব্যথা হয়।ব্যথায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেনা।বসলেও ব্যথা হচ্ছে। জোরে কাশি দিলেও ব্যথা হয়।আমার বিশ্বাস এমন রুগী সমাজে অনেক আছে।কেউ বাচ্চা উঠাতে আবার কেউ ভারী জিনিস উঠাতে এমন কষ্ট পাচ্ছে।
পরামর্শঃ বিছানায় উপুর হয়ে শুয়ে পড়ুন। মাজার যেখানে ব্যথা সেখানে প্রথমে ওলিভওয়েল হালকা করে মেখে একটা কাপড়ে বরফ নিয়ে মাজায় লাগিয়ে রাখুন দশ মিনিট দিনে 2-3 বার।এর পর আস্তে আস্তে মাথা উঠিয়ে পাঁচ বার ব্যয়াম করুন।ঔষুধ, রিলাকজেন্ট, ভিটামিন, সিডেটিভ, এন্টাসিড খাবেন দিনে 2 বার।সম্ভব হলে এর মধ্য একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিষ্টের সঙ্গে দেখা করবেন।
খাদ্য তালিকায় একটু পরিবর্তন আনতে হবে যেমন প্রচুর পানি পান করতে হবে।মৌসুমি ফল বেশি খেতে হবে।খাদ্য তালিকায় আদাও আদার রস, পেঁপে এবং কাল জিরা যুক্ত করতে হবে। ভাত ও ভাত জাতীয় খাবার কম খেতে হবে।আশা করি যারা এরকম কষ্টে ভুগছেন এ চিকিৎসার মাধ্যমে দ্রুত আরোগ্য লাভ করবেন এবং কষ্ট মুক্ত থাকবেন।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের দ্রুত প্রসারের সাথে সাথে ব্যকপেইন এর জন্য আমার সঠিক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা স্থান করে নিয়েছে তার নিজস্ব প্রযুক্তি আঙ্গিকে। কোমর ব্যথার সঠিক চিকিৎসা সম্পর্কে সচেতন হন। একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিষ্ট আপনাকে ব্যাকপেইন প্রতিরোধ করার জন্য সঠিক ব্যয়াম শিখিয়ে দিয়েন।এ ব্যয়াম নিয়মিত করে ব্যাকপেইন প্রতিরোধ করুন। কোমর ব্যথার চিকিৎসার জন্য অবশ্যই অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিষ্ট এর নিকট থেকে চিকিৎসা নিবেন।ফিজিওথেরাপিষ্টের পরামর্শ নিন।এবং ব্যথা প্রতিরোধ করুন।কোমর ব্যথার কষ্ট থেকে ব্যথা মুক্ত থাকুন।
..............................।।
..............................।।