Saturday 20 December 2014

বেশি অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার ক্ষতিকর প্রভাবগুলো...

বেশি অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার ক্ষতিকর প্রভাবগুলো... 




এ যেন খানিকটা উঠল বাই তো কটক যাইয়ের মতো ব্যাপার৷ একটু কিছু হল তো ওমনি সঙ্গে সঙ্গে পটাপট অ্যান্টিবায়োটিক (অবশ্যই নিজের মতে) শুরু করে দেওয়ার পাকামোটা আমরা প্রায়ই করি৷ কিন্তু ভবিষ্যতে এটা যে কত বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে , নিয়ে একবারও খতিয়ে দেখি না৷কেননা-
১) কিছুদিন ছাড়া ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খেলে তা আমাদের শরীরে রেসিস্ট্যান্ট হয়ে যায়৷ কারণ বার বার শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক ঢুকলে ব্যাক্টেরিয়াগুলো ক্রমশ বুঝতে পারে কীভাবে তার মোকাবিলা করতে হবে৷ ফলে তারা দ্বিগুণ শক্তিশালী হয়ে বাড়তে থাকে সংখ্যাতেও৷ আর তারপরেই আস্তে আস্তে কম যায় অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করার ক্ষমতা৷তখন দরকার আরও কড়া ওষুধ৷
২) অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক খেলে শুধু যে শরীরের খারাপ ব্যক্টেরিয়াগুলো মরে তাই নয়, অনেক সময় মরে যায় শরীরের ভালো ব্যাক্টিরিয়াও, যেগুলো আমাদের রোগ প্রতিরাধের জন্য রক্তে মজুত থাকা প্রয়োজন৷এগুলো শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তেও সাহায্য করে৷ কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিকে এগুলো মরে গেলে ক্রমশ কম যেতে থাকে শরীরের অনাক্রমণ্যতা ক্ষমতা৷
৩) একটু সর্দি, কাশি হল, নাক দিয়ে জল পড়ছে, জ্বর জ্বর ভাব, ব্যস অমনি আমরা শুরু করে দিই অ্যান্টিবায়োটিক, যাতে রোগের প্রকোপ না বাড়ে৷ কিন্তু আপার রেসপিরেটারি ট্র্যাক্টের অধিকাংশ রোগই (যার জন্য কাশি, হাঁপানি, সর্দি হয়) ভাইরাসের জন্য হয়৷ সেখানে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের কোনও প্রয়োজন পড়ে না৷ভাইরাল ইনফেকশন কমাতে অ্যান্টিবায়োটিক-এর কোনও ভূমিকা নেই৷
৪) অনেক অ্যান্টিবায়োটিকেই আমাদের অ্যালার্জি থাকে৷ কিন্তু না জেনে দোকান থেকে ওষুধ কিনে খেলে যদি তা শরীরে সহ্য না হয়, তার প্রভাব কিন্তু মারাত্মক হতে পারে৷ এমনকী করাতে হতে পারে স্টমাক ওয়াশও৷আর স্কিন অ্যালার্জি হলেও তা ডেকে আনতে পারে বিপদ৷
৫) অল্পেতে অ্যান্টিবায়োটিক না খেয়ে কোনও বড় রোগেরর জন্য তা তুলে রেখে দিন৷ ধরুন আপনার ব্যাক্টিরিয়াল মেনেনজাইটিস, চেস্ট ইনফেকশন, সিভিয়র ডায়েরিয়ার মতো কোনও অসুখ হলে তখন তো অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়া গতি নেই৷ তাই আগে থেকেই বেশি করে অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে শরীরে রেসিস্টেন্ট হয়ে গেলে, বড় অসুখের সময় ওষুধের গ্রুপ বাছতে হিমশিম খেতে হবে চিকিৎসককে৷আপনার চিকিৎসাতে বিলম্ব ঘটলে তা প্রাণঘাতীও হতে পারে কখনও কখনও৷
৬) অনেকসময় অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক থেকে পেটের সমস্যা, বমি হওয়া বা বমি বমি ভাব দেখা যায় শরীরে৷কারণ এগুলো অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্ব প্রতিকির্য়া৷ এগুলো কাটানো খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে৷
৭) দীর্ঘদিন ধরে মানে ক্রনিক অ্যান্টিবায়োটিক ডোজ যদি কেউ খেতে থাকেন, তাহলে শরীরের ম্যাগনেসিয়াম লেভেল অনেকটাই কমে যায়৷তাই সঙ্গে ম্যাগনেসিয়াম সাপ্লিমেন্ট খাওয়াও জরুরি৷কিন্তু কখনওই নিজের মতে নয়, চিকিৎসকের নজরদারিতে৷
৮) বাচ্চাদের ছোট থেকেই যদি অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো হয় বিশেষ করে কান ব্যথা, পেট ব্যথার মতো রোগে, যেগুলোর চিকিৎসার অন্য বিকল্পও রয়েছে, তাহলে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই ওর রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কার্যত নষ্ট হয়ে যাবে৷
কী কী করবেন না
• সর্দি, কাশি, রাইনাইটিস, ফ্লু-এর মতো ভাইরাসজনিত রোগে অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না৷
• চিকৎসক অ্যান্টিবায়োটিক দিতে না চাইলে তাঁকে জোর করবেন না৷
• অ্যান্টিবায়োটিকের যে ডোজ যেভাবে নির্দিষ্ট রয়েছে, তা শেষ করুন পুরোটা৷ ইচ্ছমতো খাবেন না৷ তাহলে কাজ হবে না৷
• একবার অ্যান্টিবায়োটিক কিনে পরে খাওয়ার জন্য বাঁচিয়ে রাখবেন না৷
• অন্যের প্রেসক্রিপশন দেখে অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না৷ এতে রোগ কমার বদলে বাড়বে....
 — ............................................
............................................
ফিজিওথেরাপি সম্পর্কিত যে কোন সেবার জন্য যোগাযোগ করুন ... 01977691052
............................................
সেবা সমূহ
*কোমর ব্যথা
*ঘাড় ব্যথা
*হাটু ব্যথা
*বাত ব্যথা
*মুখ বেকে যাওয়া
*প্যারালাইসিস চিকিৎসা কেন্দ্র
Address

Plot-19; Road-113/A; Gulshan-2; Dhaka; Bangladesh,Cell-01977691052

No comments:

Post a Comment