একটা মশার কয়েল= ১০০ সিগারেট!..........
বদ্ধ ঘরে মশার ধূপ জ্বালানো আর প্রায় ১০০টি সিগারেট খাওয়া– দুই-ই সমান! সিগারেটে ফুসফুসের ক্যান্সার হয়। সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য।
মশার ধূপ এবং ধূপকাঠি শুধু ফুসফুসের জন্যই ক্ষতিকর নয় বরং এর জেরে ক্যান্সারও হতে পারে।
তাইওয়ান এবং চিনে এ সংক্রান্ত গবেষণায় প্রমাণিত, ফুসফুসের ক্যান্সারের সঙ্গে এর সম্পর্ক রয়েছে।
তবে ধোঁয়া-বিহীন মশার ধূপের ওই উপাদানগুলি কম থাকলেও, সেগুলি থেকে বিশাল পরিমাণে কার্বন মনোক্সাইড নির্গত হয়। এটিও ফুসফুসের পক্ষে ক্ষতিকর।
প্রশ্ন উঠতেই পারে, মশা রিপেলেন্ট ম্যাট এবং লিকুইডেটরগুলি কি নিরাপদ? যদিও এই দুইয়ের ওপর এখনও গবেষণা হয়নি, তা-ও জানা যায়, এই গ্যাসিয়াস পলিউশন ‘ফুসফুসে তীব্র জ্বালা’ সৃষ্টি করতে পারে।
ভারতের ২২টি গ্রামে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, ৬৫ শতাংশ গৃহস্থই মশার ধূপ জ্বালানোর সময় দরজা-জানালা বন্ধ করে দেন। যা ওই টক্সিক গ্যাসের প্রভাবকে আরও জোরাল করে দেয়।
সম্প্রতি মশার ধূপ এবং ধূপকাঠির কার্সিনোজেনিক উপাদান নিয়ে গবেষণা হয়েছে। ‘যে স্থানের তাপমাত্রা বেশি, যেমন- ভারত এবং চিন সেখানেই মশার উপদ্রব দেখা যায়। তাই ইওরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো শীতল স্থানে এ সংক্রান্ত কোনও গবেষণা হয়নি।’
ডেঙ্গি, চিকেনগুনিয়া, ম্যালেরিয়ার মতো ভেক্টর-বোর্ন রোগের হাত তেকে বাঁচতে দরজা এবং জানালায় মশার-নেট লাগানো উচিত এবং বিছানায় মশারি খাটিয়ে ঘুমনো উচিত।
মশার রিপেলেন্টগুলিতে ফর্মালডিহাইড এবং ভোলাটাইল অর্গ্যানিক কম্পাউন্ড থাকে। মশার রিপেলেন্ট ব্যবহারের বিরুদ্ধে জনস্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকারের সামনে একটি প্রস্তাব পেশ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন পি এ মহেশ।
এই পেইজের পোষ্টগুলোতে লাইক,কমেন্ট ও শেয়ার করুণ এবং সবাইকে পেইজটি লাইক করতে ইনভাইট করুণ ॥
No comments:
Post a Comment